সুনামগঞ্জ (প্রতিনিধি): আবুহায়াত আহমেদ ১২ জুন ২০২৪ , ১০:০২:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ধর্মপাশায়, গাবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ।
সুনামগঞ্জ জেলা ধর্মপাশা উপজেলা গাবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণী পরীক্ষার ফি বাবদ বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ধর্মপাশা উপজেলা ২ নং সেলবরষ ইউনিয়নে গাবী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, যে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় তা সম্পূর্ণ প্রধান শিক্ষকের পকেটে পড়ে। বিদ্যালয়ের উন্নয়নে টাকা বরাদ্দ আসলে সে টাকায় কাজ না করে প্রধান শিক্ষক আত্মসাৎ করেন। ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে ভালোভাবে পড়ানো হয়না বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্নে বিদ্যালয়টি দারুণভাবে শিক্ষা বিস্তার করলেও বর্তমানে এর লেখাপড়ার মানও তেমন ভালো না।
সরকারি মতে জানা যায়, উক্ত বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণী রেজিস্ট্রি ফি বাবদ ১২৫ টাকা উল্লেখ রয়েছে, কিন্তু অনুসন্ধানে জানা গেছে, ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ৪০০ টাকা রেজিস্ট্রি বাবদ ও ৪০০ টাকা পরীক্ষার ফি বাবদ মোট ৮০০ টাকা প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বাড়তি টাকা নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
আরো জানা গিয়েছে জাতীয় পতাকা প্লাস্টিক সুতা দিয়ে উত্তোলন করে বলে প্রমাণসহ হাতেনাতে ধরা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে, তিনি বলেন প্রতিদিন কে বা কারা রশিটি কেটে নিয়ে যায় তাই এই সুতা দিয়ে পতাকা উত্তোলন করা হয়। দপ্তরি কাঞ্চন মিয়া বলেন, স্যার আমাকে রশি আনার জন্য বলে নাই, আমাকে টাকাও দেন না, আমি কি আমার হাত থেকে টাকা দিয়ে পতাকার রশি আনবো।
বিষয়টি স্বীকার করে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম জানান, আমরা আশপাশের আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ের সঙ্গে মিলেমিশেই এই ফি নির্ধারণ করে থাকি। রফিকুল ইসলাম আরও বলেন বর্তমানে আমাদের স্কুলে পরীক্ষার জন্য কোনো সরকারী বরাদ্দ আসেনা। আমাদের তো বাহিরে কাজ করাতে হয়, ধর্মপাশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে গেলে উনি বলেন প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কাছে যান, তারা আমাদের কোন সরকারি বরাদ্দ দেন না, তাই আমরা বাড়তি টাকা নিচ্ছি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে মোটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি বিষয়টা দেখবো ও ব্যবস্থা নেব ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মানবেন্দ্র সাথে কথা হলে, তিনি বলেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে বলেন, তবে আপনি বিষয়টি জানালেন আমি স্যারের সাথে কথা বলে এ বিষয়টা দেখবো।
এ বিষয়ে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, আমি বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।