অপরাধ

সাভারে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নারীকে হত্যার পর মাটি চাপার অভিযোগে গ্ৰেফতার

  ষ্টাফ রিপোর্টার: মো.আসিফুজ্জামান আসিফ ৭ জুন ২০২৪ , ৯:৫২:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

সাভারে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নারীকে হত্যার পর মাটি চাপার অভিযোগে গ্ৰেফতার
সাভারে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নারীকে হত্যার পর মাটি চাপার অভিযোগে গ্ৰেফতার

সাভারে ইয়াবাসহ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও মাদককারবারির স্ত্রীকে গ্রেপ্তারের জেরে তথ্য দেওয়ার সন্দেহে এক নারীকে হত্যার পর মাটি চাপা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

হত্যায় জড়িত সন্দেহে সাভারের ইমান্দিপুরের মাদককারবারি সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
তার দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খনিজনগর এলাকার মাদককারবারি এবং হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে মাটি খুঁড়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ২ জুন সাভারের নিজ ভাড়া বাসা থেকে নিখোঁজ হয় ওই নারী।

নিহত সীমা বেগম মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার মুন্সীকাদিরপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম জাহাঙ্গীর খান।

তিনি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা হামিদ মিয়াকে মাদকসহ গ্রেপ্তারে ডিবি পুলিশকে সহযোগিতা করেছিলেন।
নিহতের মেয়ে তানিয়া আক্তার বলেন, ‘গত ১৩ মে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি টিম স্বপনের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় মাদকসহ স্বপনের স্ত্রী ও যুবলীগ নেতা হামিদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় স্বপন পালিয়ে যায়। এর কিছুদিন পর মা আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, স্বপন লোকজন ঠিক করেছে তাকে মারার জন্য। এর দুই দিন পর থেকেই আমার মা নিখোঁজ। আজ স্বপনের বাড়ির পাশ থেকে আমার মায়ের মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিবির অভিযানে আমার মা নাকি সহযোগিতা করেছিলেন। ডিবি নাকি আমার মায়ের কাছে স্বপনের বাড়ি কোথায় জানতে চেয়েছিল। আমার মা স্বপনের বাড়ি পুলিশকে দেখিয়ে দিয়েছিল। স্বপন, রেজাউল ও সাইফুলসহ আরও কয়েকজন মিলে আমার মাকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছেন।’
বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক দিদার হোসাইন বলেন, ‘আমরা নিখোঁজের খবর পাওয়ার পর থেকেই তদন্ত শুরু করি। সন্দেহজনক সাইফুল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হলে তার তথ্যের ভিত্তিতে আমরা উদ্ধার করেছি। প্রাথমিক তদন্ত শেষে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, ‘আমরা জেনেছি নিহত সীমা বেগম র‌্যাব, পুলিশ ও বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সোর্স হিসেবে কাজ করত। আমরাও মাদক উদ্ধারে তার সহযোগিতা নিয়েছি। সীমা বেগমের নিখোঁজের খবর পেয়ে আমরা ছায়াতদন্ত শুরু করি। এ ঘটনায় হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছি।’

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত