অপরাধ

চাঞ্চল্যকর ৪ খন্ড লাশের রহস্য উন্মোচন,হত্যা*করী গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ৫ জুন ২০২৪ , ১০:০১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

চাঞ্চল্যকর ৪ খন্ড লাশের রহস্য উন্মোচন,হত্যা*করী গ্রেফতার
চাঞ্চল্যকর ৪ খন্ড লাশের রহস্য উন্মোচন,হত্যা*করী গ্রেফতার

গত ০২/০৬/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ সকাল অনুমান ০৮.৩০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী মডেল থানাধীন মনতলাস্থ সুতিয়াখালী নদীর ব্রীজের নিচে পানিতে ভাসমান অবস্থায় একটি লাগেজ ও পাশেই স্থলভাগে একটি মানুষের মাথা দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনতা থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

CREATOR: gd-jpeg v1.0 (using IJG JPEG v62), quality = 90?

হতে মানুষের মাথা ও পাশেই পানিতে ভাসমান লাগেজ উদ্ধার করে লাগেজ খুলে চার টুকরা পুরুষের খন্ডিত অংশ পাওয়া যায়। থানা পুলিশের পাশাপাশি পুলিশে অন্যান্য বিশেষায়িত ইউনিট পিবিআই, সিআইডি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাৎক্ষণিক লাশের পরিচয় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য বিভিন্ন ইলেট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়াসহ জেলা পুলিশ অফিসিয়াল ফেসবুকে সংবাদ পোষ্ট করা হয়। ঘটনাস্থলে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুতসহ আনুষক্সিগক অন্যান্য কার্যাদি সম্পন্ন করে লাশের ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ স্যাম্পল সংগ্রহের নিমিত্তে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। 

পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যাকান্ডের বিষয়ে সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ভিকটিমের আতœীয়-স্বজন  ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ মর্গে উপস্থিত হয়ে ভিকটিম এর মুখমন্ডল, পড়নের কাপড়-চোপড় এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট দেখে পরিচয় সনাক্ত করেন। সনাক্তকৃতদের পরিচয় থেকে জানা যায় ভিকটিমের নাম ওমর ফারুক সৌরভ (২৪), পিতা-মোঃ ইউসুফ আলী, মাতা-মাহমুদা আক্তার পারুল, সাং-তারাটি, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ বর্তমান সাং-পোষ্টার কলোনী, থানা-মতিঝিল, ডিএমপি ঢাকা ।

এই সংক্রান্তে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-০৬, তারিখ-০২/০৬/২০২৪ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩০১/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু করা হয়। মামলা দায়ের পর ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী  মডেল থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবি পুলিশের একটি চৌকশ টিম উক্ত ঘটনার রহস্য উন্মোচন ও আসামী গ্রেফতারের জন্য মাঠে নামেন। তথ্য প্রযুুক্তি ও নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমে উক্ত হত্যাকান্ডের মূল হত্যাকারী ১। ইলিয়াছ আলী (৫৫), পিতা-মৃত হাসেম আলী, সাং-তারাটি, থানা-ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান সাং-গোহাইলকান্দি (প্রাইমারী স্কুল সংলগ্ন), থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহ এবং ২। আহাদুজ্জামান ফারুক(৩০), পিতা-মৃতঃ আক্তারুজ্জামান, মাতা-মাহবুবা বেগম রিনা,সাং-চর হোসেনপুর, থানা- ঈশ্বরগঞ্জ, জেলা-ময়মনসিংহ এবং লাশ বহনকারী গাড়ীর ড্রাইভার ৩। আব্দুল হান্নান আকন্দ (৬৫), পিতা-মৃত মীর হোসেন আকন্দ, মাতা-মৃত আছিয়া খাতুন, সাং-চান্দুরা (বিরাজ প্রফেসরের বাড়ীর পাশে), থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান সাং-বলাশপুর, হাক্কানী পশ্চিম মসজিদের মোড় (জনৈক আব্দুল হান্নান এর বাসার ভাড়াটিয়া), থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহদের গত ০৪/০৬/২০২৪ খ্রিঃ ঢাকা ও ময়মনসিংহ ধোবাউড়া থানা এলাকা থেকে থানা পুলিশ ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করেন ।

ধৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যায়, ধৃত আসামী ইলিয়াছ ও ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ পরস্পর আপন চাচা ভাতিজা। আসাামি ইলিয়াছ এর মেয়ে ইভা আক্তারকে ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ (২৪) গোপনে বিবাহ করে। ইভার ডিসিষ্ট ওমর ফারুক সৌরভ এর সাথে বিবাহের পূর্বে অন্যত্র বিবাহ হয়েছিল। বিষয়টি পরবর্তীতে ইভার বাবা মা জানলে তাহার চরম ক্ষিপ্ত হয় এবং এই বিবাহ কোনক্রমেই মেনে নিবে না বলে জানায়। এই ঘটনা নিয়ে ইলিয়াছ এর আপন ভাই  ইউসুফ (ডিসিষ্ট এর বাবা) এর সাথে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। দুইজনের মধ্যে বাক বিতন্ডা হয় এবং ওমর ফারুক সৌরভকে মেরে ফেলার হুমকি

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত