সকালের দুনিয়া ডেস্ক ৪ নভেম্বর ২০২৪ , ১২:০০:১২ প্রিন্ট সংস্করণ
মরিচের হাইব্রিড জাতের এক কেজি বীজ কিনতে হয়েছে প্রায় আট হাজার টাকায়। মৌসুম শুরুর আগেও একই পরিমাণ বীজের দাম সাড়ে ৭ হাজার টাকা ছিল। ১৫ অক্টোবর থেকে মৌসুম শুরুর পর বীজের দাম বেড়ে গেছে।
ফটিকছড়ির বাসিন্দা বলেন, রবি মৌসুমে তিনি মরিচ চাষ করছেন। বীজ কেনা, জমি তৈরি ও চাষাবাদ মিলিয়ে তাঁর ৬০ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। আশা করছেন লাখ দেড়েক টাকা উঠে আসবে। বীজের দাম বেশি পড়ায় এবার শীতকালীন সবজির দামের ওপরও প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন এই উদ্যোক্তা।
ফটিকছড়ির বাসিন্দা আকবর উদ্দিন অবশ্য হাইব্রিড বীজ কেনেননি। তিনি খুচরা দোকান থেকে পঞ্চগড়ের মরিচের বীজ কিনেছেন প্রতি কেজি ৭৫ টাকা দরে। মৌসুম শুরুর আগেও এই মরিচের দাম ছিল ৬০ থেকে ৬৫ টাকার ঘরে। আকবর বলেন, এক কানি জমিতে মরিচের চাষ করছেন। খুচরা বাজার থেকে পঞ্চগড়ের মরিচের বীজ কিনে জমিতে ছিটিয়েছেন।
শুধু এই দুজন নন, চট্টগ্রাম জেলার ১০ কৃষক ও খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ীরা বীজের বাড়তি দামের বিষয়টি জানিয়েছেন। পাইকারি ও খুচরা বাজারে ছয় ধরনের শস্যবীজে দাম বেড়েছে। এগুলো হলো মরিচ, শর্ষে, ধনিয়া, মাষকলাই, ফেলন ও মুগ। সপ্তাহের ব্যবধানে কোনোটি ৫ টাকা, কোনোটি ১০ টাকা বেড়েছে।
সাধারণত বছরের ১৫ অক্টোবর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত রবি মৌসুম। এ মৌসুমে বোরো ধান, শীতকালীন সবজি, গম, ভুট্টাসহ বিভিন্ন তেল ও ডালজাতীয় ফসলের উৎপাদন হয়। চট্টগ্রাম জেলায় ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩৫৮ হেক্টর জমিতে চাষ করেন কৃষকেরা। সরকারি ও বেসরকারি—দুভাবে বীজের বেচাকেনা হয়। সরকারিভাবে সব ধরনের দেশীয় বীজের দাম প্রতি কেজি ১৩০ টাকা। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় ব্যবসায়ী, বীজ উৎপাদকেরা একেক জাতের বীজ একেক দামে বিক্রি করেন।