ভোলা জেলা প্রতিনিধি, ইউসুফ হোসেন অনিকঃ ১৫ অক্টোবর ২০২৪ , ১:১৮:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ
ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার সাবেক মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি প্রয়াত সাইদুর রহমান মিলন মিয়ার স্মরণে সাইদুর রহমান মিলন মিয়া স্মৃতি পরিষদ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বোরহানউদ্দিন পৌর শহরের আমতলায় সাইদুর রহমান মিলন মিয়ার মাকে নিয়ে স্মৃতি সংসদটির উদ্বোধন করেন ভোলা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম বলেন, সাইদুর রহমান মিলন সকলের প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন, তার কাছে এসে কেউ কখনও ফিরে যায় নি, এজন্য মিলন সকললে প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। তিনি অসুস্থ শরীর নিয়েও বিএনপির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। পাশাপাশি তার মা এবং ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের পাশে আমরা সব সময় আছি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও থাকবো।
তিনি আরও বলেন, মিলনকে আপনারা যেভাবে পাশে পেয়েছেন ইনশাআল্লাহ তার দুই ছেলেকেও সেভাবে সব সময় আপনাদের পাশে পাবেন। আমি তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি।
সাইদুর রহমান মিলন মিয়ার বড় ছেলে মেহেদী হাসান সাগর, ছোট ছেলে উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান শাওনের সভাপতিত্বে এসময় বিএনপি নেতা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাসান হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান কবির, ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রনেতা আকবর হাওলাদার ,পৌর বিএনপির সহ সভাপতি বশির আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক শাহাবউদ্দিন বাচ্চু, ইউসুফ হোসেন বাচ্চু,উপজেলা যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম মিঠু, মিলন মিয়ার ছোট ভাই মিজানুর রহমান, মিলন মিয়ার মেয়ে নাদিয়া রহমান মিমু সহ বোরহানউদ্দিন উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অংগ সহযোগী সংগঠনের সকলস্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সাইদুর রহমান মিলন ২০০২ সালে বোরহানউদ্দিন পৌরসভার উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ৩ মার্চ ২০০২ থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেন ও ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় পৌর নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর পৌরসভার মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেন। এ দায়িত্ব পালনকালে কাজের মধ্য দিয়ে তিনি সকলের কাছে প্রিয় মিলন ভাই হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়া মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বোরহানউদ্দিন পৌর বিএনপির সভাপতি হিসেবে দক্ষতার সাথে নেতৃত্বে দিয়ে বোরহানউদ্দিন বিএনপিকে সুসংঘটিত করে রেখেছিলেন। চলিত বছরের ০৪ জুলাই তিনি সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিলো পুরো বোরহানউদ্দিন জুড়ে।