প্রতিনিধি ১৮ মে ২০২৪ , ১২:৫০:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ
জামালপুর-মাদারগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কের মেলান্দহ উপজেলার ভাবকী বাজার থেকে হাজরাবাড়ী বাজার পর্যন্ত প্রতিনিয়ত মহাসড়কের ওপর ধান ও খড় শুকানো হয়।
এতে বিভিন্ন সময় যানবাহনের চাকা পিছলে দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা বাড়ছে। শেরপুর থেকে নকলা উপজেলা সড়কের দূরত্ব ১৮ কিলোমিটার। সড়কটির প্রস্থ ১০ দশমিক ৩ মিটার। শেরপুর থেকে ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকায় প্রতিদিন আড়াই থেকে তিনশ যাত্রীবাহী বাস, সমপরিমাণ ট্রাক এবং অর্ধশতাধিক তিন চাকার যানবাহন চলাচল করে। গত এক মাসে এই সড়কের শুধু নকলা পর্যন্তই দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত এবং ২৫ জনের অধিক আহত হয়েছেন।
সড়কে গিয়ে দেখা যায়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে শত শত মানুষ ক্ষেত থেকে ধান এনে রাখছেন সড়কের ওপর। এর পর মেশিন দিয়ে মাড়াই করে একপাশে ধান, অন্যপাশে খড়ের গাদা রাখা হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ধানমাড়াই, ধান-খড় শুকানো ও খড়ের গাদা তৈরির প্রবণতাকে সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মহাসড়ক আইন-২০২১ অনুযায়ী, ফসল, খড় বা অন্য কোনো পণ্য শুকানো বা এ ধরনের কোনো কাজে মহাসড়ক ব্যবহার করা যাবে না। তবুও প্রতি বছরের বোরো ধান কাটার সময় মহাসড়ক দখল করে ধান শুকানো হয়।
তবে কৃষকেরা বলছেন, সড়কে ধান শুকাতে দিলে তেমন কষ্ট করতে হয় না। একদিনেই ধান শুকানো হয়ে যাই। তাই বেশিরভাগ মানুষ সড়কে ধান ও খড় শুকাচ্ছে।